মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

রূপপুরের পণ্য নিয়ে দুই রুশ জাহাজ মোংলায়

জাহাজ এম ভি আনকা সান। ছবি: দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:১৬

বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইলেকট্রিক্যাল ও মেশিনারি পণ্য নিয়ে রাশিয়া থেকে আসা বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি আনকা সান’ ও এম ভি সাপোডিলা’ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।

রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে আনকা সান ও সন্ধ্যা ৭টায় ৮ নম্বর জেটিতে ভিড়ে সাপোডিলা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইলেকট্রিক্যাল মালামাল নিয়ে ভানুয়াতুর পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আনকা সান রোববার বিকেল পৌনে ৫ টায় মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। ১ হাজার ৯৭৯ প্যাকেজের ১৪ শ মেট্টিক টন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর রাশিয়ার নভরস্কি বন্দর থেকে ছেড়ে আসে এ জাহাজটি।

এছাড়া রাশিয়ার সেন্ট পিটারসবার্গ বন্দর থেকে ৪৩৬ প্যাকেজের ৫১৮ মেট্টিক টন মেশিনারি পণ্য নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় বন্দরের ৮নম্বর জেটিতে ভিড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি সাপোডিলা।

বিদেশি জাহাজ আনকা সানের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইসেন্সের খুলনার ম্যানেজার (অপারেশন শিপিং) সাধন কুমার চক্রবর্তী ও সাপোডিলার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টারপোর্টের খুলনার ম্যানেজার অসিম মন্ডল জানান, বন্দর জেটিতে অবস্থান নেয়া এ জাহাজ দুটি হতে রোববার রাত থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে। এরপর জাহাজের এ পণ্য খালাস করে জেটিতে রাখা হবে। তারপর সোম বা মঙ্গলবার থেকে তা সড়ক পথে নেয়া হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

গত ২২ জানুয়ারি রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে বিদেশি জাহাজ এম ভি কামিল্লা।

সম্প্রতি ৭টি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের মালামাল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রেক্ষিতে রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা উরসা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এর চার দিন আগে ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, জাহাজটি আসলে ‘উরসা মেজর’ নয়। এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ। জাহাজটির আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) সনদ নম্বর: ৯৫৩৮৮৯২, যা প্রকৃতপক্ষে ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজের সনদ নম্বর। বিষয়টি যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। অবশ্য রাশিয়া দাবি করে, জাহাজটি ‘স্পার্টা-৩’ ওরফে ‘উরসা মেজর’।

পরে জাহাজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে পণ্য খালাসের চেষ্টা করে। সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এজেন্ট সেখান থেকে পণ্য বাংলাদেশের রূপপুরে পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা যায়। তবে তাও সম্ভব হয়নি। সপ্তাহ দুয়েক হলদিয়ায় অপেক্ষা করেও পণ্য খালাসের অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয় জাহাজটি। এ অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় সেটি। পরে জাহাজটি চীনে যায়।

জাহাজ নিয়ে এসব ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

বিষয়:

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে দুই ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম। ২০২২ সালে অবস্থান ছিল ১৩০তম। আর্টিকেল নাইনটিনের বৈশ্বিক মতপ্রকাশ রিপোর্ট বা গ্লোবাল এক্সপ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশের এ অবস্থান উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টটি উপস্থাপন করেছেন আর্টিকেল নাইনটিনের রিজিওনাল ডিরেক্টর শেখ মনজুর-ই-আলম।

সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মতো সংকটজনক অবস্থায় আছে ভারত ও আফগানিস্তান।

এবার বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর ১২। ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর আটকে আছে ১১ ও ১২-এর মধ্যে। দশ বছরে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট, ২ যুগে কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪।

২০১৭ সাল থেকে প্রতিবেদনটি নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে আর্টিকেল নাইনটিন।

সবার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, যোগাযোগ এবং অংশগ্রহণসহ ২৫টি সূচকের বিপরীতে মতপ্রকাশ বা এক্সপ্রেশন স্কোর নির্ধারণ করে সংস্থাটি। স্কোর অনুযায়ী ০-১৯ সংকটজনক, ২০-৩৯ অতিবাধাগ্রস্ত, ৪০-৫৯ বাধাগ্রস্ত, ৬০-৭৯ স্বল্প বাধাগ্রস্ত ও ৮০-১০০ মুক্ত। আর্টিকেল নাইনটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪টি দেশ অতি বাধাগ্রস্ত, বাধাগ্রস্ত ২৫টি, স্বল্প বাধাগ্রস্ত ৩৫টি ও মতপ্রকাশের মুক্ত শ্রেণিতে রয়েছে ৩৮টি দেশ।

বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়, ২৫টি সূচকের মধ্যে সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের স্কোর সম্পূর্ণ ঋণাত্মক। ২০০৯ সাল থেকে ৮টি সূচকেই ক্রমাগত খারাপ করে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্সরশিপে। ধর্ম পালন ও নারী-পুরুষের আলোচনার স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচক। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও একাডেমিক-সাংস্কৃতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্কোরে।

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে নাগরিক সমাজের জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। আইন করা হচ্ছে নিবর্তনমূলক, ব্যক্তির পরিচয়ভেদে ভালো আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।


শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অধীন সব অধিদপ্তর ও সংস্থার অংশগ্রহণে ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিজয়নগরে অবস্থিত শ্রম ভবনের সভাকক্ষে এই শোকেসিং হয়।

শোকেসিংয়ে ইনোভেশন টিমের এক্সপার্টরা প্রদর্শিত উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে ডিজিটাইজেশন, ইনোভেশন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রস্তাবিত উদ্যোগসমূহের অবদান, নাগরিকদেরকে সেবা প্রদানে সময় ও খরচ হ্রাস ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শ্রমিকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এই শোকেসিংয়ে প্রদর্শিত উদ্যোগসমূহের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সেবাসমূহের অভিনব ও সৃজনশীল দিক উন্মোচিত হবে। জনগণকে প্রদেয় সেবায় গতি সঞ্চারিত হবে। বিদ্যমান কার্যক্রমসমূহ চালু রাখার পাশাপাশি ইনোভেশন ও স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকের কল্যাণে জনবান্ধব ও কার্যকর নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশে স্মার্ট শ্রমিক এবং শ্রমব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আবারও বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ মালদ্বীপের শ্রম বাজার

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ নিয়োগের কারণে আবারও বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে শ্রমিক নিয়োগ। আজ মঙ্গলবার মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাতিমাথ রিফাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবৈধ নিয়োগের কারণে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাতিমাথ রিফাথ স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, মালদ্বীপের কিছু কোম্পানি জাল কাগজপত্র দাখিল করে শ্রমিক নিয়োগ করে দেখে এক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছিল। সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

দ্বীপদেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘কুরাঙ্গি’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৭০০ জনেরও বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মালদ্বীপ। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর প্রশাসন গত বছরের ডিসেম্বরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।

ডিসেম্বরে এক প্রেস কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছিলেন যে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ১ লাখ ৩৯ হাজার ২২০ ওয়ার্ক পারমিট আগে থেকেই রয়েছে, তাদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ফি নিয়মিতভাবে দিয়ে বৈধ আছে মাত্র ৩৯ হাজার ৪ জন।

একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৯০ হাজার ৬৪২ জন শ্রমিক মালদ্বীপে আগে থেকেই রয়েছে, মালদ্বীপের কর্মসংস্থান আইন অনুযায়ী একটি দেশ থেকে নির্ধারিত কোটা ১ লাখের চেয়েও কম।


ঘর পাচ্ছে আরও ২০ হাজার ভূমিহীন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রকল্প ‘আশ্রয়ণ-২’-এর আওতায় পঞ্চম ধাপে আরও ২০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ ঘর পাচ্ছে। আগামী জুন মাসেই তাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে।

এ ঘর বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষ্যে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, তার ব্যয় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে সম্পন্ন করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

আজ মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৫২০ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম পর্যায়ের অবশিষ্ট অংশ আরও ২০ হাজার ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ঘরগুলো এরই মধ্যে হয়ে গেছে। এখন ফরমাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রয় কাজ করার জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

কবে নাগাদ এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে সামারি দেওয়া হয়েছে, জুন মাস ধরেই আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। এখনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সুবিধামতো সময় দেবেন।’


নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

নেপালের কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচন্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার নেপালের কাঠমান্ডুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর সিংহ দরবারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সুসম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তনে দুই দেশের সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র, বিদ্যুৎ বাণিজ্যসহ অন্যান্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে এই অঞ্চলে পরিবেশ ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।

আলোচনা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী দাহাল এবং মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশগত বিভিন্ন উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতার কৌশলগুলোতে জ্ঞান বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনে পারস্পরিক আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে উল্লেখ করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী দাহাল পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নে নেপালের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশগত সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফোরামে সক্রিয় ভূমিকার উল্লেখ করেন। তিনি জোরদার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা থেকে উভয় দেশের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. রূপক সাপকোটা, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. জনপ্রিয় কোমল ভুসাল, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী, নেপালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. গোবিন্দ প্রসাদ শর্মা এবং বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবিরসহ নেপাল সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


দেশে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রতিদিন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫’ (সংশোধিত ২০১৩)-এর দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। তাই বিদ্যমান আইনের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ‘ট্যোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির আলোকে সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। তামাকের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করতে আমার দিক থেকে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, তামাকের ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। কারণ আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর)-এর আড়ালে তামাক দ্রব্যের ওপর তরুণদের আকৃষ্ট করছে; যা তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধ করে বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’-এর সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ দেশে অসংক্রামক রোগ ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার। তাই এই অকাল মৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।


কাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামীকাল বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধের জন্মতিথি উপলক্ষে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব উদযাপন করা হয়। এই দিনটি সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বুদ্ধগয়ায় বোধি বৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব এবং মহাপরনির্বাণ লাভ করেছিলেন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল ৪টায় বৌদ্ধ নেতাদের সংবর্ধনা শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সারা দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতি এবং তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে বৌদ্ধ নেতাদের শুভেচ্ছা জানাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শ্রদ্ধা ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারাও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতিকে ফুলের তোড়া উপহার দিবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘৮০০’র বেশি অতিথিসহ এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।


৫০ বছরে চালের উৎপাদন চারগুণেরও বেশি বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি, গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণা অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছেন। এসব বহুমুখী উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেলে পরিণত করেছে; বিশেষ করে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন চারগুণেরও বেশি বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান দশম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘গ্রহ ও মানুষের জন্য ধান’ শীর্ষক মিনিস্টিরিয়াল সেশনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এসব কথা বলেন। বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ সেশনের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন চালের ঘাটতি নেই, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে। এই অর্জন না হলে আমাদের লাখ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ত, খাদ্য শরণার্থী হয়ে যেত এবং বিশ্বব্যাপী সংকট তৈরি হতো কিন্তু বাস্তবে এই অর্জনের ফলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান ও খাওয়ানোর সাহস দেখিয়েছেন। সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ সময় তিনি সব দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

আজ দুপুরে মন্ত্রী ওয়াটার ফর দ্য শেয়ার্ড প্রসপারিটি’ শীর্ষক সেশনে বলেন, ‘মানুষ, উদ্ভিদ এবং প্রতিটি জীবের জন্য নিরাপদ পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমছে। টেকসই উন্নয়ন ও সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পানি অপরিহার্য। সেজন্য আমাদের সবাইকে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বব্যাপী সব অংশীজনের সম্মিলিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি অর্জন করা সম্ভব।’

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কৃষিতে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি ও ধান চাষে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এসময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজে পানির অপচয় রোধ ও কৃষকের সেচ খরচ আরও কমাতে কাজ করে যাচ্ছি। ভূগর্ভস্থ পাইপের মাধ্যমে সেচ প্রদান ও ধান চাষে পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (এডব্লিউডি) পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’

সেশনে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যারোলিন টার্ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গিউইং, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী আন্দি এমরান সুলাইমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী আমনা বিনতে আব্দুল্লাহ আল দাহাক প্রমুখ আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ম্যানেজার মাইকেল জে. ওয়েবস্টার সূচনা বক্তব্য দেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এবং যুগ্মসচিব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।


ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু: বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।’

এ উপলক্ষ্যে সেদিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।’

বিষয়:

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এমন তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি। এটা বিস্তারিতভাবে না জেনে প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছি, মার্কিন সরকার অনেক দেশের অনেক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অনেক দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা তাদের জন্য নতুন কিছু না। আমাদের দেশে যাকে দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে এখনো সেটা সঠিকভাবে আসেনি। আসলে পরে জানতে পারবো, কেন দেওয়া হয়েছে!’

এর আগে বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। এতে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানায় দেশটি।


ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের সফরের জন্য ঢাকায় এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কো‌নো পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলা‌দে‌শে এলেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সা‌ড়ে ১১টার পর ঢাকায় আসেন তিনি। ঢাকা বিমানবন্দ‌রে পেনি ওংকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা সফরের সময় পেনি ওং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পেনি। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বল‌ছে, ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গা দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। পে‌নির ঢাকা সফরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেবেন। পাশাপাশি পেনি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে জোর দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মনোভাব ইতিবাচক ছিল না। দেশটি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, নির্বাচন যে পরিবেশে হয়েছে তা ‘দুঃখজনক’। তবে নির্বাচনের চার মাসের বেশি সময় পর সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি এলবানিজ পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

পেনির সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, শিক্ষা, ব্লু-ইকোনোমিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যু উঠে আসবে আলোচনার টেবিলে।

ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ও রপ্তানি বেড়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে অস্ট্রেলিয়া। টিফা কাঠামোর আওতায় দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, উল, কটন, গম, ডালসহ নিত্যপণ্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে আমদানি করার সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিগত সেবা, শিক্ষাসংক্রান্ত দক্ষতা, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ করে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হিমায়িতকরণ প্রযুক্তিতে অস্ট্রেলিয়া থেকে সহযোগিতা পেতে পারে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চালু, দক্ষ অভিবাসীদের কর্মসংস্থান, ব্লু-ইকোনোমিসহ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে মানবপাচার ও মাদকপাচার ও চোরাচালান নিয়ে দুই দেশ সহযোগিতার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে পারে বলে ভাষ্য এ কূটনীতিকের।

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ফিলিস্তিন সংকটের মধ্যে সম্প্রতি রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তবে সরকারে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

পেনির ঢাকা সফরে ফিলিস্তিন ইস্যু আলোচনায় আসতে পারে জানিয়ে এক কূটনীতিক বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ইতিবাচক। বাংলাদেশ বরাবরই ফিলিস্তিনের পক্ষে। বাংলাদেশ চায়, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। ফিলিস্তিন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে সেটি তুলে ধরা হবে। রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটিও আলোচনার বিষয়। ইউক্রেন সংকট এখনও শেষ হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন বাংলাদেশ সফর করেন। ভারত মহাসাগরীয় তীরবর্তী দেশগুলোর জোট ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে পেইন ঢাকা সফর করেছিলেন।

ঢাকায় অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের তথ্য বলছে, তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইনের সফরটি ছিল দীর্ঘ ২১ বছর পর দেশটির কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।


দেশের ১২ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২১ মে, ২০২৪ ২১:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসকল এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত। আজ মঙ্গলবার আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিমউত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘনীভূত হতে পারে।’

আগামীকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার (২৪ মে) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।


এভারেস্টের পর লোৎসে জয় করলেন বাবর আলী

বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এভারেস্ট বিজয়ী বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলীর নামের পেছনে লেখা হলো আরেকটি ইতিহাস। যোগ হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর আরও একটি অধ্যায়।

আজ মঙ্গলবার নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫০ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিটের দিকে বাবর আলী জয় করেছেন বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ শৃঙ্গ লোৎসে। তিনদিন ধরে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর এ শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি। এটিই বাংলাদেশের কারও প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুটি আটহাজারি শৃঙ্গ সামিট।

এর আগে গত রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী।

এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে চার বছরে পাঁচ বাংলাদেশি ছয়বার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। কিন্তু এরপরই এভারেস্ট অভিযানে নেমে আসে খরা।

দীর্ঘ সময় কোনো বাংলাদেশির সফল অভিযান হয়নি। ১১ বছরের সেই খরা কাটিয়ে গত রোববার ভোরে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় লাল-সবুজ পতাকা হাতে বাবর আলী।

বিষয়:

banner close